ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উজিরপুরে মৎস্য কর্মকর্তার মানবিকতায় বেঁচে গেলো দুই জেলের প্রাণ

মোঃ জুনায়েদ খান সিয়াম
  • ০৭:১১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / 221

 

বরিশালের উজিরপুরে মৎস্য কর্মকর্তার দ্রুত পদক্ষেপ ও মানবিক উদ্যোগে দুই জেলের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। রবিবার ১৯ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে উজিরপুরের হারতা এলাকার সন্ধ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা বন্ধে সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করছে মৎস্য অধিদপ্তর।

এরই অংশ হিসেবে উজিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেন মজুমদারের নেতৃত্বে একটি দল হারতা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় একটি ট্রলার থামানোর চেষ্টা করলে আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারে থাকা তিন জেলের মধ্যে দুইজন নদীতে লাফ দেন। এতে মোঃ রিপন সিকদার (৩৮), পিতা আনোয়ার সিকদার এবং সজল মজুমদার (২৯), পিতা শুভাষ মজুমদার— উভয়েই মসজিদবাড়ি, সৈয়দকাঠী, বানারীপাড়া, বরিশাল এলাকার বাসিন্দা— গুরুতর আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রিপন সিকদার নদীতে লাফ দেওয়ার সময় নিজের ট্রলারের ইঞ্জিনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পেটের অংশে মারাত্মক জখম হন। অপর জেলে সজল মজুমদারও পালানোর সময় আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেন মজুমদার তার সঙ্গীয় কর্মচারী ও ফোর্সের সহায়তায় আহত দুই জেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে আহত রিপন ও সজল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উজিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেন মজুমদার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কাউকে ক্ষতি করা নয়, বরং ইলিশ সংরক্ষণ ও নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা বন্ধ করা। আহত জেলেদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো ছিল মানবিক দায়িত্ব।” তার এই মানবিক ও দ্রুত পদক্ষেপের কারণে দুই জেলের প্রাণ রক্ষা পাওয়ায় স্থানীয়রা প্রশংসা করেছেন। তারা বলেন, অভিযানের সময়ও মৎস্য কর্মকর্তার যে মানবিকতা ও দায়িত্ববোধ তিনি দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

উজিরপুরে মৎস্য কর্মকর্তার মানবিকতায় বেঁচে গেলো দুই জেলের প্রাণ

০৭:১১:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

 

বরিশালের উজিরপুরে মৎস্য কর্মকর্তার দ্রুত পদক্ষেপ ও মানবিক উদ্যোগে দুই জেলের প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। রবিবার ১৯ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে উজিরপুরের হারতা এলাকার সন্ধ্যা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা বন্ধে সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করছে মৎস্য অধিদপ্তর।

এরই অংশ হিসেবে উজিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেন মজুমদারের নেতৃত্বে একটি দল হারতা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় একটি ট্রলার থামানোর চেষ্টা করলে আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারে থাকা তিন জেলের মধ্যে দুইজন নদীতে লাফ দেন। এতে মোঃ রিপন সিকদার (৩৮), পিতা আনোয়ার সিকদার এবং সজল মজুমদার (২৯), পিতা শুভাষ মজুমদার— উভয়েই মসজিদবাড়ি, সৈয়দকাঠী, বানারীপাড়া, বরিশাল এলাকার বাসিন্দা— গুরুতর আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, রিপন সিকদার নদীতে লাফ দেওয়ার সময় নিজের ট্রলারের ইঞ্জিনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পেটের অংশে মারাত্মক জখম হন। অপর জেলে সজল মজুমদারও পালানোর সময় আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেন মজুমদার তার সঙ্গীয় কর্মচারী ও ফোর্সের সহায়তায় আহত দুই জেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে আহত রিপন ও সজল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

উজিরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রসেন মজুমদার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য কাউকে ক্ষতি করা নয়, বরং ইলিশ সংরক্ষণ ও নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা বন্ধ করা। আহত জেলেদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো ছিল মানবিক দায়িত্ব।” তার এই মানবিক ও দ্রুত পদক্ষেপের কারণে দুই জেলের প্রাণ রক্ষা পাওয়ায় স্থানীয়রা প্রশংসা করেছেন। তারা বলেন, অভিযানের সময়ও মৎস্য কর্মকর্তার যে মানবিকতা ও দায়িত্ববোধ তিনি দেখিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।