ঝালকাঠি জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কেকার লাশ উদ্ধার
- ০৬:২৪:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / 167

ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজেদুল।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল কোতয়ালী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাজেদুল জানান, জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে বাসায় ঢুকে খাটে শোয়া অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পান। পরবর্তীতে মহিলা পুলিশ মরদেহ চেক করে এক অংশে রক্ত জমাট রয়েছে দেখতে পান।
স্থানীয়দের দাবি, রাতে মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও কেকার মৃত্যু হয়েছে বিকেল ৫টার দিকে। তাছাড়া মৃতদেহের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে নগরজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত কেকা বরিশাল নগরীর সদর রোড এলাকার হিরন আহমেদ লিটুর স্ত্রী ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, কেকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হত্যা করেছে। মৃত্যুর খবর চাপা রাখতে তারা কাউকে জানায়নি। এমনকি যে রুমের ভেতরে কেকার মরদেহটি ছিল, সেই রুমের সামনে স্বামী লিটু একটি রামদা নিয়ে বসে ছিলেন। তিনি কাউকে রুমে প্রবেশ করতে দেননি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করবেন বলে জানিয়েছে কেকার স্বজনরা।
তবে কেকার মেয়ে দিতান জানান, বিকেল থেকে তার মায়ের সাড়া শব্দ না পেয়ে রাতে রুমের দরজা খুলে গিয়ে দেখতে পান তার মা মৃত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে বিষয়টি অবগত করেন। তবে তার মা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে তার হার্টে রিং পড়ানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, ‘সদর রোড থেকে কেকা নামের এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্টের মোট ৩টি মামলার আসামি ছিলেন শারমিন মৌসুমি কেকা।























