ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৌরনদীতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক খানাখন্দ

বিএম বেলাল, গৌরনদী
  • ০৫:০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / 319

গৌরনদীতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক খানাখন্দ

 

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাটাজোর কবিবাড়ি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে । এমনকি কয়েকদিনের বর্ষণে মহাসড়কের পাশসহ গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের লোকাল বাস কাউন্টারসহ প্রায় ২০টি দোকানঘর পুকুরে ধসে পড়ায় উপক্রম হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বেহাল অবস্থা’র এ মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচলে চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে ১৬ মিনিট দূরত্বের পথ অতিক্রম করতে এখন দ্বিগুণ সময় লেগে যাচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে গৌরনদী উপজেলার টরকী ও গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা, আশোকাঠি, বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকা, কসবা, দক্ষিণ পালরদী, দক্ষিণ বিজয়পুর, কাছেমাবাদ, বেজহার, মাহিলাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পিচ, বিটুবিন ও পাথর উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের লোকাল বাস কাউন্টারসহ প্রায় ২০টি দোকানঘর ও মহাসড়কের পাশ সিসিডিবি’র পুকুরে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলে প্রবেশের একমাত্র দ্বার গৌরনদী উপজেলার এ মহাসড়ক। বরিশাল নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মাদারীপুর, গৌরনদীর ভূরঘাটা, হোসনাবাদ, আগৈলঝাড়ার পয়সারহাটে ৮৬টি যাত্রীবাহী লোকাল বাস প্রতিদিন চলাচল করে।

এছাড়া বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চল থেকে ঢাকার গাফতলী, সায়দাবাদ, মতিঝিল ও বনানীতে ৬ শতাধিক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস দিনে ও রাতে চলাচল করে আসছে। বরিশাল বাস টার্মিনাল থেকে খুলনা, যলোর, কুষ্টিয়া, বেনাপোল, মেহেরেপুর, পাবনা, বাজশাহী, ফরিদপুর, বংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটে সাড়ে তিন শতাধিক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক যাত্রাবাহী মাইক্রোবাস রাতে ও দিনে চলাচল করে আসছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪ সহ্রস্রাধিক মালবাহী ট্রাক ও সহস্রাধিক মালবাহী কাভার্ডভ্যান প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। ব্যস্ততম এ মহাসড়কের শিবচরে মাওয়া ঘাটে পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল-ঢাকা তথা দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়কের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এ ব্যস্ততম রুটে প্রতিদিন ৭/৮ সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করলেও মহাসড়কটি চারলেনে উন্নতি না হাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বাস চালক সুমন ফকির, বেল্লাল আকন, আকবর হোসেন, তাপশ পাল, নয়ন বয়াতি, ট্রাক চালক মো. হারুন, ইব্রাহিম, মাইক্রোবাস চালক আলী মুন্সী, মো. ছামাদ, মোহাম্মদ আলী জানান, বর্ষা মৌসুমে মহাসড়কে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে তাদের গাড়ি চালাতে হয়। মহাসড়কের গর্তের মধ্য পানি জমে থাকায় যানবাহন চালাতে গিয়ে তাদের গাড়ি দূঘটনার শিকার হচ্ছে। গর্তের মধ্যে পড়ে তাদের গাড়ি প্রায় বিকল হচ্ছে। কষ্ট করে গাড়ি চালালেও সঠিক সময় গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে তাদের বিলম্ব হচ্ছে।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আমিনুর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমের কারণে মহাসড়কের পিচ ও পাথর উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে যানবাহন আটকা পড়ে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে হাজার-হাজার যাত্রীদের প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের তুবা টেলিকমের মালিক মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, গৌরনদী লোকাল বাস কাউন্টারসহ ১৫ থেকে ২০টি দোকানঘর যে কোনো সময় সিসিডিবির পুকুরে ধসে পড়তে পারে। রাস্তার পাশসহ দোকান ঘরগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মোটরসাইকেল চালক মঞ্জুর আলম তালুকদার, ফেরদৌস মোল্লা বলেন, খানাখন্দে জমে থাকা পানি ছিটে এস জামাকাপড় লাগছে। তাই দ্রুত সড়কের খানাখন্দ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, কয়েকদিনে অবিরাম হালকা ও ভারি বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ইটের খোয়া ও সলিং দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি কমলে পরে পাথর ও বিটুমিন দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে।

গৌরনদীতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক খানাখন্দ

০৫:০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

 

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাটাজোর কবিবাড়ি পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে । এমনকি কয়েকদিনের বর্ষণে মহাসড়কের পাশসহ গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের লোকাল বাস কাউন্টারসহ প্রায় ২০টি দোকানঘর পুকুরে ধসে পড়ায় উপক্রম হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে বেহাল অবস্থা’র এ মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচলে চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে ১৬ মিনিট দূরত্বের পথ অতিক্রম করতে এখন দ্বিগুণ সময় লেগে যাচ্ছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে গৌরনদী উপজেলার টরকী ও গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকা, আশোকাঠি, বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকা, কসবা, দক্ষিণ পালরদী, দক্ষিণ বিজয়পুর, কাছেমাবাদ, বেজহার, মাহিলাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পিচ, বিটুবিন ও পাথর উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের লোকাল বাস কাউন্টারসহ প্রায় ২০টি দোকানঘর ও মহাসড়কের পাশ সিসিডিবি’র পুকুরে ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলে প্রবেশের একমাত্র দ্বার গৌরনদী উপজেলার এ মহাসড়ক। বরিশাল নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে মাদারীপুর, গৌরনদীর ভূরঘাটা, হোসনাবাদ, আগৈলঝাড়ার পয়সারহাটে ৮৬টি যাত্রীবাহী লোকাল বাস প্রতিদিন চলাচল করে।

এছাড়া বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চল থেকে ঢাকার গাফতলী, সায়দাবাদ, মতিঝিল ও বনানীতে ৬ শতাধিক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস দিনে ও রাতে চলাচল করে আসছে। বরিশাল বাস টার্মিনাল থেকে খুলনা, যলোর, কুষ্টিয়া, বেনাপোল, মেহেরেপুর, পাবনা, বাজশাহী, ফরিদপুর, বংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটে সাড়ে তিন শতাধিক দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও তিন শতাধিক যাত্রাবাহী মাইক্রোবাস রাতে ও দিনে চলাচল করে আসছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪ সহ্রস্রাধিক মালবাহী ট্রাক ও সহস্রাধিক মালবাহী কাভার্ডভ্যান প্রতিদিন এ মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। ব্যস্ততম এ মহাসড়কের শিবচরে মাওয়া ঘাটে পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বরিশাল-ঢাকা তথা দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মহাসড়কের গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এ ব্যস্ততম রুটে প্রতিদিন ৭/৮ সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করলেও মহাসড়কটি চারলেনে উন্নতি না হাওয়ায় যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বাস চালক সুমন ফকির, বেল্লাল আকন, আকবর হোসেন, তাপশ পাল, নয়ন বয়াতি, ট্রাক চালক মো. হারুন, ইব্রাহিম, মাইক্রোবাস চালক আলী মুন্সী, মো. ছামাদ, মোহাম্মদ আলী জানান, বর্ষা মৌসুমে মহাসড়কে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে তাদের গাড়ি চালাতে হয়। মহাসড়কের গর্তের মধ্য পানি জমে থাকায় যানবাহন চালাতে গিয়ে তাদের গাড়ি দূঘটনার শিকার হচ্ছে। গর্তের মধ্যে পড়ে তাদের গাড়ি প্রায় বিকল হচ্ছে। কষ্ট করে গাড়ি চালালেও সঠিক সময় গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে তাদের বিলম্ব হচ্ছে।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আমিনুর রহমান জানান, বর্ষা মৌসুমের কারণে মহাসড়কের পিচ ও পাথর উঠে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে যানবাহন আটকা পড়ে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। ফলে হাজার-হাজার যাত্রীদের প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের তুবা টেলিকমের মালিক মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, গৌরনদী লোকাল বাস কাউন্টারসহ ১৫ থেকে ২০টি দোকানঘর যে কোনো সময় সিসিডিবির পুকুরে ধসে পড়তে পারে। রাস্তার পাশসহ দোকান ঘরগুলো ধসে পড়ার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মোটরসাইকেল চালক মঞ্জুর আলম তালুকদার, ফেরদৌস মোল্লা বলেন, খানাখন্দে জমে থাকা পানি ছিটে এস জামাকাপড় লাগছে। তাই দ্রুত সড়কের খানাখন্দ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন, কয়েকদিনে অবিরাম হালকা ও ভারি বৃষ্টির ফলে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ইটের খোয়া ও সলিং দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি কমলে পরে পাথর ও বিটুমিন দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করা হবে।