ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকের গালে থাপ্পর মারা ও মেয়েকে দিয়ে পাঠদানের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ১২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
  • / 722

 

পটুয়াখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মেয়েকে দিয়ে পাঠদান ও অভিভাবকের গালে থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে স্কুল ভবনের তিন তলা থেকে ফেলে দেয়ার।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ১নং আমখোলা ইউনিয়নের মুদির হাট সংলগ্ন ৯২ নং কালাই কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা লিপি তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে দিয়ে প্রায়ই পাঠদান করান।ঘটনার দিন তার সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়ে রাফা তার মায়ের কর্মরত স্কুলে ৪র্থ শ্রেনীর ক্লাশ নেন। ফাইমা নামের এক শিক্ষার্থী পড়া না পারলে তাকে স্কেল দিয়ে পিটুনি ও কান ধরে ওঠবস করালে ঐ শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে তার বাবাকে জানালে বাবা স্কুলে এসে বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চান। বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায় বাকবিতন্ডায় জড়ালে প্রধান শিক্ষক ঐ শিক্ষার্থীর বাবা বসির প্যাদার গালে থাপ্পর মারে এবং স্কুল ভবনের তিন তলা থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন।

সরেজমিনে, এবিষয়ে ৪র্থ শ্রেণির পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফাইমার বাবা বসির জানায়।আমার মেয়ে অসুস্থ তাকে হেডমাস্টারের মেয়ে ক্লাসে বসে মারছে।আমি বিষয়টা হেডমাস্টারের কাছে জানতে চাইলে ওনি উত্তেজিত হয়ে হয়ে আমাকে গালাগালি করে, আমার গালে থাপ্পর মারে এবং আমাকে তিন তলা থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর একাধিক শিক্ষার্থী জানায় বড় আপার মেয়ে রাফা আপায় আমাগো ঐদিন পড়াইছে। ও (ফাইমা) পড়া পারে নাই সেজন্য ওরে কান ধরাইছে আর মারছে। পরে ফাইমার বাবা আসলে বড় আপার সাথে ঝগড়া বাজে। তখন বড় আপায় ওর বাবার গালে থাপ্পর মারে।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মো: বাদল  মীমাংসা করে দিয়েছেন বলে যানা যায়।

এবিষয়টি জানতে ৯২ নং কালাই কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গেলে দেখা যায় তালিকা অনুযায়ী ৬(ছয়) শিক্ষকের উপস্থিতি থাকার কথা থাকলেও পাওয়া ২(দুই) জন। উপস্থিত পাওয়া যায়নি প্রধান শিক্ষক মাহফুজা লিপি কে। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তারা যদি কিছু বলে থাকে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আসালে অভিভাবকের সাথে আমার একটু কথা কাটাকাটি, মনোমালিন্য হয়েছে।এটা হয়নি যে সেটা আমি বলবো না। আমি বলছি মনে কিছু রাইখো না।এটা বলার পরে আমরা মিলে গেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি আমাদের এলাকায় বিএনপি করে ফারুক হোসেন তাকে বলেছি।

এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ গোলাম সগীর বলেন কোন কারনে অভিভাবকের গা’য়ে হাত দেয়া বা অসৌজন্যমূলক আচরণ করা যাবে না। এরকম কিছু হয়ে থাকলে বিষয়টি আমি ভাল ভাবে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

প্রধান শিক্ষক মাহফুজা লিপি সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরী নিয়ে ৯২ নং কালাই কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গত ২০০৭ সালের ২২ আগষ্ট যোগদান করে অদ্যবদি বহাল তবিয়তে চাকুরী করে আসছেন। দীর্ঘ ১৭ বছরেও বেশি বাবার বাড়ির এলাকায় একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুবাদে গড়ে তুলেছেন জোর-জুলুমের রাজত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায় মাহফুজার বাবার বাড়ি এই এলাকায় সে সুবাদে ক্ষমতার অপব্যহার করে ঠিক মতো স্কুলে আসেন না,মেয়েকে দিয়ে ক্লাস করান এবং কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে প্রায়ই এধরণের খারাপ আচরন করেন।

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবকের গালে থাপ্পর মারা ও মেয়েকে দিয়ে পাঠদানের অভিযোগ

১২:৫৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

 

পটুয়াখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মেয়েকে দিয়ে পাঠদান ও অভিভাবকের গালে থাপ্পর মারার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে স্কুল ভবনের তিন তলা থেকে ফেলে দেয়ার।

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ১নং আমখোলা ইউনিয়নের মুদির হাট সংলগ্ন ৯২ নং কালাই কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজা লিপি তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েকে দিয়ে প্রায়ই পাঠদান করান।ঘটনার দিন তার সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া মেয়ে রাফা তার মায়ের কর্মরত স্কুলে ৪র্থ শ্রেনীর ক্লাশ নেন। ফাইমা নামের এক শিক্ষার্থী পড়া না পারলে তাকে স্কেল দিয়ে পিটুনি ও কান ধরে ওঠবস করালে ঐ শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে তার বাবাকে জানালে বাবা স্কুলে এসে বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চান। বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায় বাকবিতন্ডায় জড়ালে প্রধান শিক্ষক ঐ শিক্ষার্থীর বাবা বসির প্যাদার গালে থাপ্পর মারে এবং স্কুল ভবনের তিন তলা থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন।

সরেজমিনে, এবিষয়ে ৪র্থ শ্রেণির পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফাইমার বাবা বসির জানায়।আমার মেয়ে অসুস্থ তাকে হেডমাস্টারের মেয়ে ক্লাসে বসে মারছে।আমি বিষয়টা হেডমাস্টারের কাছে জানতে চাইলে ওনি উত্তেজিত হয়ে হয়ে আমাকে গালাগালি করে, আমার গালে থাপ্পর মারে এবং আমাকে তিন তলা থেকে ফেলে দেয়ার হুমকি দেন।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর একাধিক শিক্ষার্থী জানায় বড় আপার মেয়ে রাফা আপায় আমাগো ঐদিন পড়াইছে। ও (ফাইমা) পড়া পারে নাই সেজন্য ওরে কান ধরাইছে আর মারছে। পরে ফাইমার বাবা আসলে বড় আপার সাথে ঝগড়া বাজে। তখন বড় আপায় ওর বাবার গালে থাপ্পর মারে।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মো: বাদল  মীমাংসা করে দিয়েছেন বলে যানা যায়।

এবিষয়টি জানতে ৯২ নং কালাই কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গেলে দেখা যায় তালিকা অনুযায়ী ৬(ছয়) শিক্ষকের উপস্থিতি থাকার কথা থাকলেও পাওয়া ২(দুই) জন। উপস্থিত পাওয়া যায়নি প্রধান শিক্ষক মাহফুজা লিপি কে। পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়টি জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তারা যদি কিছু বলে থাকে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। আসালে অভিভাবকের সাথে আমার একটু কথা কাটাকাটি, মনোমালিন্য হয়েছে।এটা হয়নি যে সেটা আমি বলবো না। আমি বলছি মনে কিছু রাইখো না।এটা বলার পরে আমরা মিলে গেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি আমাদের এলাকায় বিএনপি করে ফারুক হোসেন তাকে বলেছি।

এবিষয়ে গলাচিপা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ গোলাম সগীর বলেন কোন কারনে অভিভাবকের গা’য়ে হাত দেয়া বা অসৌজন্যমূলক আচরণ করা যাবে না। এরকম কিছু হয়ে থাকলে বিষয়টি আমি ভাল ভাবে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

প্রধান শিক্ষক মাহফুজা লিপি সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরী নিয়ে ৯২ নং কালাই কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গত ২০০৭ সালের ২২ আগষ্ট যোগদান করে অদ্যবদি বহাল তবিয়তে চাকুরী করে আসছেন। দীর্ঘ ১৭ বছরেও বেশি বাবার বাড়ির এলাকায় একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর সুবাদে গড়ে তুলেছেন জোর-জুলুমের রাজত্ব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায় মাহফুজার বাবার বাড়ি এই এলাকায় সে সুবাদে ক্ষমতার অপব্যহার করে ঠিক মতো স্কুলে আসেন না,মেয়েকে দিয়ে ক্লাস করান এবং কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে প্রায়ই এধরণের খারাপ আচরন করেন।