ঢাকা ১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সেনাপ্রধানই হলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট

  • ০৬:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 327

আন্তর্জাতিক ডেস্ক— দীর্ঘ দুই বছর ধরে শূন্য থাকা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন লেবাননের সেনাপ্রধান জোসেফ আউন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট এই সেনাপ্রধানকে বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্টই নন, বরং ইসরায়েলের সঙ্গে বিধ্বংসী যুদ্ধের পর ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রভাব তিনি সীমিত করেছেন বলে মনে করা হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে সেনাপ্রধান জোসেফ আউনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এই ঘটনা লেবানন এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে। কারণ গত বছরের যুদ্ধে লেবাননের শিয়া মতাবলম্বী হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডিসেম্বরে হিজবুল্লাহর মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঘটেছে।

সেনাপ্রধানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া লেবাননে সৌদি আরবের প্রভাবের পুনরুত্থানেরও ইঙ্গিত দেয়; যেখানে রিয়াদের ভূমিকা ইরান এবং হিজবুল্লাহ অনেক আগেই নস্যাৎ করে দিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ভোটাভুটির আগে হিজবুল্লাহর পছন্দের প্রার্থী সুলেমান ফ্রাঙ্গিয়েহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়ে সেনাপ্রধান আউনের প্রতি সমর্থন জানান। সেনাপ্রধান জোসেফ আউনের প্রতি সমর্থন ঘিরে দিনভর ফরাসি ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতরা বৈরুতে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন বলে লেবাননের তিনটি রাজনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। এসব বৈঠকের ফলে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট লেবাননের সেনাপ্রধানের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়াটা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়।

সৌদি আরবের রাজকীয় আদালতের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, ভোটের আগে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেরিকে ফরাসী, সৌদি এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতরা জানিয়ে দেন সৌদি আরবসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা আউনের নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।

গত নভেম্বরে ওয়াশিংটন এবং প্যারিসের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে জোসেফ আউনের প্রধান ভূমিকা ছিল। চুক্তির শর্ত হিসাবে সেই সময় বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি সৈন্য ও হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করার সময় লেবাননের সেনাবাহিনীকে দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন করতে হবে।

মার্কিন-সমর্থনপুষ্ট ৬০ বছর বয়সী আউন ২০১৭ সাল থেকে লেবাননের সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। হিজবুল্লাহর প্রভাব সীমিত করতে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সমর্থন হ্রাসে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেন তিনি। দীর্ঘস্থায়ী এই মার্কিন নীতির ফলে লেবাননের সেনাবাহিনীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

মার্কিন সমর্থনপুষ্ট সেনাপ্রধানই হলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট

০৬:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক— দীর্ঘ দুই বছর ধরে শূন্য থাকা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রেসিডেন্ট পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন লেবাননের সেনাপ্রধান জোসেফ আউন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট এই সেনাপ্রধানকে বৃহস্পতিবার লেবাননের পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্টই নন, বরং ইসরায়েলের সঙ্গে বিধ্বংসী যুদ্ধের পর ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রভাব তিনি সীমিত করেছেন বলে মনে করা হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে সেনাপ্রধান জোসেফ আউনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এই ঘটনা লেবানন এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করছে। কারণ গত বছরের যুদ্ধে লেবাননের শিয়া মতাবলম্বী হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডিসেম্বরে হিজবুল্লাহর মিত্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতন ঘটেছে।

সেনাপ্রধানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া লেবাননে সৌদি আরবের প্রভাবের পুনরুত্থানেরও ইঙ্গিত দেয়; যেখানে রিয়াদের ভূমিকা ইরান এবং হিজবুল্লাহ অনেক আগেই নস্যাৎ করে দিয়েছিল।

বৃহস্পতিবার ভোটাভুটির আগে হিজবুল্লাহর পছন্দের প্রার্থী সুলেমান ফ্রাঙ্গিয়েহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়ে সেনাপ্রধান আউনের প্রতি সমর্থন জানান। সেনাপ্রধান জোসেফ আউনের প্রতি সমর্থন ঘিরে দিনভর ফরাসি ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতরা বৈরুতে রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন বলে লেবাননের তিনটি রাজনৈতিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। এসব বৈঠকের ফলে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট লেবাননের সেনাপ্রধানের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়াটা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়।

সৌদি আরবের রাজকীয় আদালতের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, ভোটের আগে হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ মিত্র বেরিকে ফরাসী, সৌদি এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতরা জানিয়ে দেন সৌদি আরবসহ আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা আউনের নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে।

গত নভেম্বরে ওয়াশিংটন এবং প্যারিসের মধ্যস্থতায় হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে জোসেফ আউনের প্রধান ভূমিকা ছিল। চুক্তির শর্ত হিসাবে সেই সময় বলা হয়েছিল, ইসরায়েলি সৈন্য ও হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করার সময় লেবাননের সেনাবাহিনীকে দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন করতে হবে।

মার্কিন-সমর্থনপুষ্ট ৬০ বছর বয়সী আউন ২০১৭ সাল থেকে লেবাননের সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। হিজবুল্লাহর প্রভাব সীমিত করতে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর প্রতি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সমর্থন হ্রাসে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেন তিনি। দীর্ঘস্থায়ী এই মার্কিন নীতির ফলে লেবাননের সেনাবাহিনীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।